Skip to content
গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা

গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা : জেনে নিন কারণ

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকাল মানেই প্রচণ্ড গরম, ঘাম, পানিশূন্যতা ও শরীরের বিভিন্ন ধরণের অস্বস্তি। এই সময়ে শরীর ঠান্ডা রাখা, হাইড্রেটেড থাকা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা খুব জরুরি। গরমের এই কষ্টকর সময়ে একটি সবজি রয়েছে যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে, হজমে সহায়তা করতে এবং আরও নানা উপকারে আসতে পারে—তা হলো লাউ

লাউয়ের পরিচিতি:

লাউ (Bottle Gourd) এক প্রকারের কঁচু জাতীয় সবজি যা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এটি শীতল প্রকৃতির, জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ, সহজপাচ্য এবং হালকা সবজি হিসেবে পরিচিত।

গরমে লাউ খাওয়ার ১০টি উপকারিতা:

১. শরীরকে ঠান্ডা রাখে

লাউতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি (প্রায় ৯২% পর্যন্ত)। গরমে শরীর অতিরিক্ত ঘামার ফলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। লাউ খেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।

২. ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা রোধে সহায়ক

প্রচণ্ড গরমে শরীর ঘামে ও পানির পরিমাণ কমে যায়। লাউয়ের জলীয় উপাদান শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করে।

৩. হজমে সহায়তা করে

গরমে অনেক সময় হজমে সমস্যা হয় বা অরুচি দেখা দেয়। লাউ হালকা ও সহজপাচ্য হওয়ায় এটি গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

৪. ওজন কমাতে সহায়ক

লাউতে ক্যালোরি খুব কম, কিন্তু ফাইবার ও পানি প্রচুর। ফলে এটি খেলে পেট ভরা লাগে, বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গরমে ওজন নিয়ন্ত্রণে লাউ হতে পারে ভালো পছন্দ।

৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

লাউয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে চিনির মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও গরমকালে এটি নিরাপদে খেতে পারেন।

৬. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক

গরমে ত্বকে ঘাম, র‍্যাশ, ব্রণ ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। লাউয়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও জলীয় উপাদান ত্বক হাইড্রেটেড রাখে এবং ভিতর থেকে উজ্জ্বলতা আনে।

৭. কিডনি ও লিভারের জন্য ভালো

লাউ ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে—অর্থাৎ এটি প্রস্রাব বাড়ায়, ফলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়। এটি কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

পটাসিয়াম সমৃদ্ধ লাউ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। গরমকালে হাই বা লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে লাউ উপকারী।

৯. ঘুম ভালো হয়

গরমে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা হয়। লাউয়ে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান উপাদান ঘুমের উন্নতি ঘটাতে পারে।

১০. দুধ উৎপাদনে সহায়ক (নারীদের জন্য)

প্রসূতি নারীদের ক্ষেত্রে লাউ দুধ উৎপাদনে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি পুষ্টিকর ও হালকা হওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখে।

লাউয়ের পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রামে):

উপাদান পরিমাণ
শক্তি (Energy) ১৪ কিলোক্যালরি (kcal)
পানি (Water) ৯৬.১ গ্রাম
প্রোটিন (Protein) ০.৬ গ্রাম
ফ্যাট (Fat) ০.১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) ৩.৩ গ্রাম
আঁশ (Dietary Fiber) ০.৬ গ্রাম
ক্যালসিয়াম (Calcium) ২৬ মি.গ্রা
ফসফরাস (Phosphorus) ১৩ মি.গ্রা
লৌহ (Iron) ০.২ মি.গ্রা
পটাশিয়াম (Potassium) ১৭০ মি.গ্রা
ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium) ১১ মি.গ্রা
সোডিয়াম (Sodium) ১.৮ মি.গ্রা
ভিটামিন সি (Vitamin C) ১০ মি.গ্রা
ভিটামিন বি১ (Thiamine) ০.০২ মি.গ্রা
ভিটামিন বি২ (Riboflavin) ০.০২ মি.গ্রা
ভিটামিন বি৩ (Niacin) ০.৩ মি.গ্রা
ফোলেট (Folate) ৬ μg
জিঙ্ক (Zinc) ০.৭ মি.গ্রা

ওজন কমানো:

         ১. কম ক্যালোরি, বেশি ভলিউম:
লাউতে ক্যালোরি খুবই কম, কিন্তু এটি পেট ভরায় সহজে। অর্থাৎ, আপনি বেশি খেতে পারেন কিন্তু ক্যালোরি কম পাবেন, যা                      ওজন    কমাতে সহায়ক।

  1. উচ্চ পানি ও ফাইবার:
    ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে ও টক্সিন দূর করে।

  2. ডিটক্সিফায়িং প্রভাব:
    লাউ প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এটি লিভার ও কিডনিকে পরিষ্কার রাখে, যা বিপাকক্রিয়া (Metabolism) উন্নত করে।

  3. মেটাবলিজম বুস্ট করে:
    এতে থাকা মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরের বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে ক্যালোরি বার্নের হার বাড়ে।

  4. লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স:
    এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ায় না, ফলে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে — যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

লাউ খাওয়ার উপায়:

১. লাউ সেদ্ধ বা ভাজি:
তেল কম দিয়ে তৈরি লাউ ভাজি বা সেদ্ধ লাউ ডায়েটের জন্য আদর্শ।

  1. লাউয়ের স্যুপ:
    হালকা ঝোলযুক্ত লাউ স্যুপ খুব কম ক্যালোরি দিয়ে পেট ভরায়।

  2. লাউয়ের জুস (Lau Juice):
    সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস লাউয়ের রস পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে সতর্কভাবে তৈরি করতে হবে।

  3. লাউ-মুগ ডালের খিচুড়ি:
    হালকা তেলে রান্না করা লাউ খিচুড়ি একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বাস্থ্যকর খাবার।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারিতা:

১. লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (Low Glycemic Index)

লাউয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। এর মানে হচ্ছে, এটি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি নিরাপদ।

২. ফাইবার সমৃদ্ধ

লাউয়ে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম ধীর করে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজ ধীরে প্রবেশ করে। এতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং রক্তে শর্করার ওঠানামা কমে।

৩. কম ক্যালোরি, উচ্চ পানি

লাউয়ে পানি থাকে প্রায় ৯৫%। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, কিডনিকে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি কমায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন

লাউয়ে থাকা ভিটামিন C, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লাউ নিয়মিত খাওয়ার ফলে কোষে ইনসুলিন গ্রহণের সক্ষমতা (insulin sensitivity) বাড়ে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

লাউ কীভাবে খাবেন:

১. লাউ ভাজি (হালকা তেলে ভাজা)
  • উপকরণ: লাউ কুচি, পেঁয়াজ, রসুন, সামান্য হলুদ, লবণ, কাঁচা মরিচ, সরিষার তেল।

  • প্রণালী: অল্প তেলে পেঁয়াজ-রসুন ভেজে লাউ দিন। ঢেকে দিন। পানি ছাড়বে, নরম হলে নামিয়ে ফেলুন।

  • উপকারিতা: হালকা, ফাইবার সমৃদ্ধ, ডায়াবেটিকদের জন্য উপযুক্ত।

২. লাউয়ের ঝোল / তরকারি
  • মাছ (রুই বা তেলহীন ইলিশ) বা ডাল দিয়ে লাউ রান্না করুন।

  • অল্প মসলা ব্যবহার করুন: হলুদ, জিরা, শুকনো মরিচ — বেশি তেল নয়।

  • গরম ভাত বা রুটি দিয়ে খাওয়া যায়।

৩. লাউয়ের স্যুপ
  • উপকরণ: লাউ কুচি, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, লবণ, পিপারিকা বা গোলমরিচ।

  • প্রণালী: সব উপকরণ ফুটিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন।

  • উপকারিতা: হালকা, উপকারী এবং রাতের খাবারের জন্য উপযুক্ত।

৪. লাউয়ের রস / জুস (সতর্কভাবে)
  • উপকরণ: তাজা লাউ, কিছু টক দই বা লেবুর রস (স্বাদমতো), পুদিনা পাতা।

  • প্রণালী: লাউ ছেঁকে বা ব্লেন্ড করে জুস করুন।

  • সতর্কতা: আগে এক ফোঁটা চেখে নিন — তেতো হলে খাবেন না।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস জুস উপকারী হতে পারে (চিকিৎসকের পরামর্শে)।

৫. লাউ-ডাল খিচুড়ি
  • লাউ ও মুগডাল মিশিয়ে পাতলা খিচুড়ি তৈরি করুন।

  • এতে পেঁয়াজ, আদা, সামান্য রসুন ও ঘি ব্যবহার করুন।

  • হজমে সহায়ক, রাতের খাবার বা অসুস্থতার সময় আদর্শ।

৬. লাউ চিংড়ি / লাউ মাছ দিয়ে রান্না
    • যারা প্রোটিন পেতে চান, তারা সামান্য চিংড়ি বা ছোট মাছ দিয়ে রান্না করতে পারেন।

    • বেশি তেল ও লবণ ব্যবহার না করে, সেদ্ধ বা হালকা ঝোল তৈরি করুন।

সতর্কতা:
১. তেতো লাউ একেবারে খাওয়া যাবে না
  • লাউ স্বাভাবিকভাবে মিষ্টি স্বাদের হওয়া উচিত। যদি এটি তেতো লাগে, তবে সেটি খাওয়া বিপজ্জনক।

  • তেতো লাউয়ে “কুকুরবিটাসিনস” (Cucurbitacins) নামক একটি বিষাক্ত যৌগ থাকতে পারে, যা খেলে বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

  • বিশেষ সতর্কতা: লাউয়ের জুস তৈরি করার আগে সবসময় এক ফোঁটা চেখে দেখুন।

২. জুস খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) হতে পারে
  • ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন বা ওষুধ গ্রহণ করেন, যা রক্তে গ্লুকোজ কমায়।

  • এর সঙ্গে যদি লাউয়ের রস বা বেশি পরিমাণে লাউ খাওয়া হয়, তবে রক্তে গ্লুকোজ বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।

৩. পেটের সমস্যা থাকলে সাবধান
  • কারও যদি অম্বল, অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে লাউ খেলে তা কখনো কখনো বাড়তে পারে।

  • এমন ক্ষেত্রে লাউ সেদ্ধ করে বা মসলা ছাড়া হালকা রান্না করে খেতে হবে।

৪. লিভার বা কিডনি সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
  • যদিও লাউ প্রাকৃতিকভাবে কিডনি ও লিভার ডিটক্সে সাহায্য করে, তবুও যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের ডায়েটে অতিরিক্ত তরল বা পটাসিয়াম থাকা খাবার (যেমন লাউ) যুক্ত করার আগে চিকিৎসকের অনুমতি প্রয়োজন।

৫. একই খাবার অতিরিক্ত না খাওয়া
    • প্রতিদিন বেশি পরিমাণে কেবল লাউ খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে।

    • সুষম ডায়েট অনুসরণ করুন, যাতে বিভিন্ন ধরনের সবজি, শস্য, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে।

গরমকালে সুস্থ থাকতে এবং শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে লাউ একটি প্রাকৃতিক উপহার। এর অগণিত উপকারিতা এবং সহজলভ্যতা একে গরমের জন্য উপযুক্ত সবজি করে তোলে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লাউ অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি শরীর ও মনের প্রশান্তি পাবেন, এবং গরমকাল হয়ে উঠবে আরও সহনীয়।

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ (FAQ)

লাউ কি গরমের জন্য সত্যিই উপকারী?

হ্যাঁ, লাউয়ে ৯৫% পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি গরমে পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক এবং ক্লান্তি প্রতিরোধে সহায়ক।

প্রতিদিন লাউ খাওয়া কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, তবে অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পুষ্টির বৈচিত্র্য বজায় থাকে। অতিরিক্ত একঘেয়ে না হয়ে রোটেশন করে খাওয়াই উত্তম।

গরমে লাউয়ের রস পান করা যাবে?

হ্যাঁ, সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস পান করা উপকারী। তবে তেতো লাউ থেকে রস তৈরি একেবারে নিষেধ, কারণ এতে বিষক্রিয়া হতে পারে।

গরমে শিশু বা বৃদ্ধদের জন্য লাউ উপযুক্ত কি?

অবশ্যই। এটি হালকা, সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি আদর্শ খাবার — শুধু অতিরিক্ত মসলা না দিলেই হয়।

লাউ কি গরমে অ্যাসিডিটি বা বদহজমে উপকারী?

হ্যাঁ, লাউয়ে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস, অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

গরমে লাউ খাওয়ায় ওজন কমে?

হ্যাঁ, লাউয়ে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি — ফলে পেট ভরে কিন্তু ওজন বাড়ায় না। এটি ডায়েট ফ্রেন্ডলি খাবার।

গরমে কীভাবে লাউ রান্না করলে স্বাস্থ্যকর হয়?

হালকা তেলে, কম মসলা দিয়ে সেদ্ধ বা ঝোল করে খেলে সবচেয়ে উপকারী। চাইলে লাউয়ের স্যুপ বা খিচুড়িও বানানো যায়।

ডায়াবেটিস রোগীরা কি গরমে লাউ খেতে পারবেন?

অবশ্যই। লাউয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে রস পান করার আগে অবশ্যই লাউটি তেতো নয় তা যাচাই করুন।

গরমে ত্বকে ঘামাচি বা ফুসকুড়ি হলে লাউ খেলে উপকার হয়?

হ্যাঁ, লাউ শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে। ফলে গরমের তাপজনিত ত্বকের সমস্যা যেমন ঘামাচি বা লাল ফুসকুড়ির প্রবণতা কমে।

লাউ কখন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী?

দুপুর বা রাতের খাবারে হালকা লাউ ভাজি বা ঝোল খাওয়া উপকারী। সকালে খালি পেটে লাউয়ের রসও উপকারী — তবে তাজা ও নিরাপদ লাউ দিয়ে তৈরি করতে হবে।

No comment yet, add your voice below!


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *