Skip to content
গরমে শিশুদের যত্ন

গরমে শিশুদের যত্ন: করণীয় ও পরামর্শ

গ্রীষ্মকাল মানেই তীব্র গরম, ঘাম, পানিশূন্যতা এবং নানা ধরনের শারীরিক অসুবিধা। এই সময় শিশুরা খুবই সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং সঠিক যত্ন না নিলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই মৌসুমে শিশুদের সুস্থ ও স্বস্তিতে রাখার জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এই লেখায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো গরমে শিশুদের যত্নের করণীয় ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে।

 

গ্রীষ্মকালে শিশুদের যত্ন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গরমের কারণে শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা তাদের অসুস্থ করে তুলতে পারে। শিশুদের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় তারা সহজেই ঘামাচি, হিট র‍্যাশ ও ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া, গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই সময় শিশুর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

 

গ্রীষ্মকালে শিশুদের যত্নের গুরুত্বপূর্ণ দিক

১. পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন

গরমের দিনে শিশুদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই তাদের পর্যাপ্ত পানি পান করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ডিহাইড্রেশন রোধ করতে:

  • বুকের দুধ পান করান (শিশু ৬ মাসের কম হলে)
  • স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি খাওয়ান
  • নারকেলের পানি, ফলের রস ও ওরস্যালাইন খাওয়াতে পারেন
  • গরমে সফট ড্রিংকস ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
২. হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরান

গরমে শিশুদের আরামদায়ক, সুতির পোশাক পরানো উচিত। সুতি কাপড় ত্বকের শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে।

  • সুতির হালকা রঙের পোশাক পরান
  • শিশুকে টাইট বা সিন্থেটিক কাপড় পরানো থেকে বিরত থাকুন
  • সরাসরি রোদে বের হওয়ার সময় ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন
৩. সঠিক খাবার নিশ্চিত করুন

গরমের সময় শিশুর খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, কারণ এই সময় হজমের সমস্যা ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  • শিশুকে বেশি করে পানি জাতীয় খাবার দিন, যেমন: শসা, তরমুজ, ডাবের পানি
  • তেল ও মসলাযুক্ত খাবার কমিয়ে সহজপাচ্য খাবার দিন
  • বাসি ও সংরক্ষিত খাবার খেতে দেবেন না
  • তাজা ও ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন
৪. শিশুর ঘর ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখুন

গরমের সময় শিশুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

  • ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন
  • ঘরে যদি এসি বা ফ্যান থাকে, তবে তা অতিরিক্ত ঠান্ডা করবেন না
  • বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে ঘরের জানালা খুলে দিন, যাতে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে পারে
৫. স্নান ও ত্বকের যত্ন

শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন অন্তত একবার স্নান করানো উচিত।

  • ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে শিশুকে গোসল করান
  • শিশুর জন্য মাইল্ড সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
  • অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকে লাল দাগ বা ঘামাচি হলে বেবি পাউডার বা নরমাল ঠান্ডা লোশন ব্যবহার করুন
৬. সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকে রক্ষা করুন

গ্রীষ্মের দুপুরের রোদ সবচেয়ে বেশি তীব্র হয়, যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই:

  • ১১টা থেকে ৪টার মধ্যে শিশুকে বাইরে বের করা এড়িয়ে চলুন
  • বাইরে গেলে ছাতা, ক্যাপ বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
  • বেশি সময় খোলা মাঠে বা রোদে খেলতে না দেওয়া ভালো
৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

গরমে শিশুর ঘুম ব্যাহত হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে:

  • ঘর আরামদায়ক ও ঠান্ডা রাখুন
  • ঘুমানোর আগে শিশুকে হালকা স্নান করান
  • পাতলা ও আরামদায়ক চাদর ব্যবহার করুন
৮. মশা ও সংক্রমণ থেকে সতর্কতা

গরমের সময় মশা ও বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি। তাই:

  • শিশুর ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখুন
  • শিশুর ঘুমানোর জায়গায় মশারি ব্যবহার করুন
  • খেলনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন
৯. ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ চিনুন

শিশুর শরীরে পানি কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • বারবার পানি চাওয়া
  • মুখ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
  • প্রস্রাব কমে যাওয়া বা গাঢ় রঙের প্রস্রাব
  • অবসন্নতা বা ক্লান্তিভাব

এই ধরনের লক্ষণ দেখলে শিশুকে দ্রুত পর্যাপ্ত পানি ও ওরস্যালাইন খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১০. শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

গরমের কারণে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। তাই তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা জরুরি।

  • ঘরে বসে গল্প বলা, ছবি আঁকা বা খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন
  • অতিরিক্ত সময় মোবাইল বা টিভি দেখানো থেকে বিরত থাকুন
  • পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন

 

গরমে শিশুর অসুস্থতা এড়াতে করণীয়:

গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সঠিক যত্ন ও সতর্কতা অনুসরণ করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় দেওয়া হলো:

১. পর্যাপ্ত পানি পান করানো

শিশুর শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, তাই তাদের পর্যাপ্ত পানি পান করানো জরুরি। পাশাপাশি ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে।

২. সঠিক পোশাক পরানো

গরমে শিশুদের হালকা, ঢিলেঢালা এবং সুতি পোশাক পরানো উচিত, যা তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গাঢ় রঙের কাপড়ের পরিবর্তে হালকা রঙের কাপড় বেছে নেওয়া ভালো।

৩. খাদ্যতালিকায় সতর্কতা

গরমের সময় শিশুর হজম ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই সহজপাচ্য, তাজা ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। বাইরের রাস্তার খাবার ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

৪. সরাসরি রোদ এড়ানো

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সূর্যের প্রখর তাপ থাকে, তাই এই সময় শিশুদের বাইরে বের না করাই ভালো। যদি বের হতেই হয়, তাহলে ছাতা, টুপি বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করা

গরমের কারণে শিশুদের শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে, তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা জরুরি। ঘরকে বাতাস চলাচল উপযোগী রাখা এবং প্রয়োজনে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬. ত্বকের যত্ন

ঘাম ও গরমের কারণে শিশুদের ত্বকে ঘামাচি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। এ কারণে নিয়মিত পরিষ্কার কাপড় পরানো এবং শরীর পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে বেবি পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৭. জীবাণুমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা

গরমের দিনে খাবার দ্রুত নষ্ট হয় এবং জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই রান্না করা খাবার বেশি সময় ফেলে না রাখা, হাত ধোয়া এবং শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।

৮. ঠান্ডা জনিত অসুখ থেকে সতর্কতা

গরমের মধ্যে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করলে শিশু সহজেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই মাঝামাঝি তাপমাত্রা বজায় রাখা দরকার।

৯. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

যদি শিশু অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভব করে, ডায়রিয়া, বমি বা জ্বর হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সঠিক যত্ন ও সচেতনতা অনুসরণ করলে গরমের সময় শিশুরা সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকতে পারবে।

 

গ্রীষ্মে শিশুর খাবার ও পোশাকের যত্ন:

গ্রীষ্মকালে শিশুদের সুস্থ রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তীব্র গরম, ঘাম ও পানিশূন্যতার কারণে শিশুর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এই সময়ে শিশুর খাবার, পোশাক এবং যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।

শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

গরমের দিনে শিশুকে এমন খাবার খাওয়ানো উচিত, যা সহজে হজম হয় এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।

1.পানি ও তরল খাবার:

শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করাতে হবে। এছাড়া ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ঘরে তৈরি ফলের রস ও স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে।

2.হালকা ও পুষ্টিকর খাবার:

গ্রীষ্মে বেশি ভারী খাবার খেলে শিশুর হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার যেমন দই, শসা, তরমুজ, পেঁপে, কলা, কমলা ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত।

3.তেল-ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:

গ্রীষ্মের সময় চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার শিশুর জন্য ভালো নয়। এগুলো বদহজমের কারণ হতে পারে।

4.প্রোটিনযুক্ত খাবার:

মাছ, ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, বাদাম ও দুধ শিশুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে অতিরিক্ত ভারী খাবার না দিয়ে পরিমাণমতো খাওয়ানো উচিত।

শিশুর আরামদায়ক পোশাক

গরমে শিশুর শরীর যাতে ঘামে না ভেজে এবং আরামদায়ক থাকে, সে বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে।

1.সুতির পোশাক:

শিশুকে সবসময় সুতির হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরানো উচিত, যা শরীরকে শীতল রাখবে।

2.গাঢ় রঙের পোশাক পরানো এড়িয়ে চলুন:

গাঢ় রঙের কাপড় বেশি তাপ শোষণ করে, তাই গরমে হালকা রঙের পোশাক পরানো ভালো।

3.সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন:

শিশুকে সরাসরি রোদের সংস্পর্শে না নেওয়া ভালো। বাইরে বের হলে টুপি, ছাতা বা হালকা রোদ প্রতিরোধক পোশাক পরান।

গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্ন

1.নিয়মিত গোসল করান:

দিনে অন্তত একবার বা দুইবার শিশুকে ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে ও ঘামের কারণে যে চুলকানি হয়, তা এড়ানো যাবে।

2.ত্বকের যত্ন নিন:

অতিরিক্ত ঘাম শিশুর ত্বকে লালচে দাগ বা র‍্যাশ তৈরি করতে পারে। তাই শরীর শুষ্ক রাখতে তুলোর কাপড় দিয়ে শিশুর শরীর আলতোভাবে মুছে দিন। প্রয়োজনে বেবি পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

3.পানিশূন্যতা থেকে সতর্ক থাকুন:

শিশুর মুখ শুকিয়ে যাওয়া, কম প্রস্রাব হওয়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দিলে বুঝতে হবে সে পানিশূন্যতায় ভুগছে। এমন হলে দ্রুত তাকে তরল খাবার ও পানি খাওয়াতে হবে।

4.মশার কামড় থেকে সুরক্ষা:

গ্রীষ্মে মশার উপদ্রব বেশি হয়, যা শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই শিশুকে মশারি ব্যবহার করে ঘুম পাড়ানো উচিত এবং নিরাপদ মশা নিরোধক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

5.ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করুন:

অনেক সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বা ফ্যান-এসি ব্যবহারের কারণে শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে তাকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচান।

গরমের সময় শিশুদের সুস্থ রাখতে কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান, সঠিক পোশাক, স্বাস্থ্যকর খাবার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করলে শিশু সহজেই এই সময় সুস্থ থাকতে পারবে। ছোট ছোট অভ্যাস বদল এনে আমরা শিশুদের গরমের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারি। তাই গ্রীষ্মকালীন শিশুদের যত্নে এসব টিপস মেনে চলুন
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

গরমে শিশুদের যত্ন: করণীয় ও পরামর্শ (FAQ)
1.গরমে শিশুকে দিনে কতবার গোসল করানো উচিত?

দিনে ১-২ বার ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো ভালো।

2.শিশুর পানিশূন্যতা রোধে কী করা উচিত?

পর্যাপ্ত পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত ও তরল খাবার খাওয়ানো জরুরি।

3.গরমে শিশুর খাবারে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত?

সহজপাচ্য ও হালকা খাবার যেমন ফল, দই, শসা, তরমুজ ইত্যাদি খাওয়ানো ভালো।

4.গরমে শিশুদের কোন পোশাক পরানো উচিত?

হালকা ও ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরানো ভালো, যা বাতাস চলাচলে সাহায্য করবে।

5.গরমে মশার কামড় থেকে শিশুকে কিভাবে রক্ষা করা যায়?

শিশুকে মশারির ভেতর ঘুম পাড়ানো এবং নিরাপদ মশা নিরোধক ব্যবহার করা উচিত।

6.গরমে শিশুর ঘামজনিত র‍্যাশ হলে কী করা উচিত?

শিশুর ত্বক শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে হবে, হালকা পোশাক পরানো উচিত এবং প্রয়োজনে বেবি পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

No comment yet, add your voice below!


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *