গর্ভাবস্থায় অনেক মিথস থাকে যা আমরা ধরে নেই, যেগুলো মানুষের কোনও স্বাভাবিক কাজে সাহায্য করে না বরং ভুল ধারণা উত্পন্ন করে মায়ে ও শিশুর সাথে অসুস্থ প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকের পরামর্শ, নিজের ধারণা-চিন্তা থেকেও যা দিকে যায় তা আমরা দেখে থাকি বিভিন্ন ধরণের ভুল ধারণা তৈরি হতে।
যেমন, ছোট থেকে আমরা শোনে আসি যে, গর্ভবতী হলে দু’জনের জন্য খাওয়া লাগে বেশি। নিজের ও শিশুর। এই ধারণা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে সঠিক নয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরা বলেন, ‘‘গর্ভাবস্থায় বেসির বাগ বাড়িতেই হবু মায়েদের নানা রকম ভুল ধারণা সবসময় হয়। এতে নানা রকম প্যানিক বা উদ্বেগ তৈরি হয়। এ সময় শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটে এবং ভয়ে ভুল ধারণা সবসময় তার উপর অসাম্প্রদায়িক প্রভাব ফেলে।’’ আমরা ছোট থেকে শুনে এসেছি যে, বেশির ভাগ সময় শুয়ে–বসে থাকতে হয় গর্ভাবস্থায়। এই ধারণার কোনও সঠিকতা নেই। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ভুলের তালিকা অনেক বড়। যে সব ভুল কীভাবে শোধ করা যায় তা জানানো দরকার।
ভুল ১: খাবার সংক্রান্ত ধারণা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় খাবারের পরিমাণের বাড়ানো না করে স্বাভাবিক মাত্রায় খেতে হবে। অতিরিক্ত খাবারের সাথে গর্ভক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব পড়তে পারে। এই জন্য প্রথম তিন মাসে খাবারের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তীতে মাত্র ২৫০-৩০০ ক্যালরি বেশি খাওয়া যেতে পারে। খাবারে পুষ্টিকর উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, যেন মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ভুল ২: সাধারণ ওষুধ নিজেই খাওয়া উচিত নয়
এত সহজে না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া, ছোট ওষুধের ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেক সাধারণ ওষুধেও বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটি ও অন্যান্য সমস্যা উত্পন্ন হতে পারে। এই জন্য সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
ভুল ৩: কম ঘুমে কাজ সংক্রান্ত ধারণা
গর্ভাবস্থায় শরীরের অপটিমাম কাজের জন্য মিনিমাম ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কাজেই নির্ধারিত সময়ে শব্দশূন্য, মনস্তব্ধ একটা জায়গায় ঘুমানো উচিত। যেমন পর্বতীয় এলাকা, অবস্থান গুলি এইভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে।
ভুল ৪: ব্যায়াম নকচিকা করা যাবে
গর্ভাবস্থায় মাত্র ৩০ মিনিট বা তার কিছুটা বেশি হালকা ব্যায়ামের পরামর্শ দেয়া হয়। এটা মায়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং প্রসবের সময় সুবিধা দেয়।
ভুল ৫: স্বাস্থ্যকর খাবারের বাদে অন্য খাবার কাওয়া যাবে
স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার প্রয়োজনীয় নুট্রিএন্ট সমৃদ্ধ হোক। এই কারণে পছন্দের খাবারের প্রাথমিকতা দেওয়া উচিত।
No comment yet, add your voice below!