Skip to content
বর্ষায় শিশুদের রোগ

বর্ষায় শিশুদের সাধারণ রোগ এবং সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

বর্ষাকাল বাংলার সবচেয়ে প্রাণবন্ত ঋতু হলেও, এই সময় শিশুদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আসে। বৃষ্টির কারণে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, জল জমে থাকে, যা সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম হওয়ায়, এই সময় তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বর্ষায় শিশুদের সবচেয়ে সাধারণ রোগসমূহ:

১. ডায়রিয়া (জলদস্ত)

বর্ষাকালে শিশুরা ডায়রিয়ার সবচেয়ে বেশি শিকার হয়। বর্ষার সময় দূষিত পানি, অপরিষ্কার খাবার বা হাত ধোয়ার অভাব থেকে পেটের জীবাণু সংক্রমণ ঘটে। ডায়রিয়ার কারণে শিশুর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং লবণশূন্যতা ঘটে, যা দ্রুত সতর্কতা নেওয়া না হলে জীবননাশক হতে পারে।

লক্ষণ: বারবার ঢিলা পায়খানা, বমি, জ্বর, দুর্বলতা, ত্বক শুষ্ক হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া।

প্রতিরোধ: পরিষ্কার পানি ব্যবহার, খাবার ভালোভাবে রান্না করা, হাত ধোয়ার অভ্যাস, এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা।

২. ফিভার (জ্বর)

বর্ষার সময় শিশুদের জ্বর হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ভাইরাস সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া, ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু।

লক্ষণ: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, গলাব্যথা, শরীর দুর্বল হওয়া।

প্রতিরোধ: পরিষ্কার পরিবেশ বজায় রাখা, মশারি ব্যবহার, এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।

৩. ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ যা বর্ষাকালে খুব বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণে শিশুদের উচ্চ জ্বর, শরীরে ব্যথা, এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।

লক্ষণ: হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি, রক্তস্বল্পতা।

প্রতিরোধ: মশার বাহিরে যাওয়া এড়ানো, মশারী ব্যবহার, মশা নিধন ব্যবস্থা গ্রহণ।

৪. শ্বাসনালীর সংক্রমণ (কফ, ঠাণ্ডা, কাশির সমস্যা)

বর্ষার আর্দ্রতা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শিশুরা শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে গলা ব্যথা, কাশি, ঠাণ্ডা, ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে।

লক্ষণ: কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে পানি পড়া।

প্রতিরোধ: শিশুকে সঠিক পোশাক পরানো, ঠান্ডা পরিবেশ থেকে রক্ষা করা, যথাযথ চিকিৎসা।

৫. স্কিন ইনফেকশন (ত্বকের সংক্রমণ)

বর্ষার সময় ত্বকে ফাঙ্গাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ খুবই সাধারণ। অধিক আর্দ্রতা, ভেজা কাপড় পরা এবং অপরিষ্কার পরিবেশ ত্বকের সমস্যা বাড়ায়।

লক্ষণ: লালচে দাগ, ফোস্কা, চুলকানি, ত্বকের ফেটে যাওয়া।

প্রতিরোধ: নিয়মিত শরীর ধোয়া, শুকনো কাপড় পরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

৬. ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালী সংক্রমণ)

বর্ষাকালে শিশুদের মূত্রনালী সংক্রমণও বাড়ে, বিশেষ করে ছোট মেয়েদের মধ্যে। এতে প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় এবং জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়।

লক্ষণ: প্রস্রাবের সময় ব্যথা, বারবার প্রস্রাব হওয়া, জ্বর।

প্রতিরোধ: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান করানো।

শিশুদের রোগের কারণসমূহ:

১. আর্দ্রতা ও ভেজা পরিবেশ

বর্ষার সময় বাতাস ও পরিবেশ অত্যন্ত আর্দ্র থাকে। অধিক আর্দ্রতা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলে, যা ত্বক, শ্বাসনালী ও পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুরা ভেজা অবস্থায় থাকে বা ভেজা কাপড় পরে থাকলে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২. দূষিত পানি ও খাদ্য

বর্ষার সময় রাস্তা ও গর্তে পানি জমে থাকায় দূষিত পানি সহজেই শিশুদের খাবার ও পানীয়ের সঙ্গে মিশে যায়। অপরিষ্কার পানি, আধপকা বা নষ্ট খাবার খাওয়ার ফলে পেটের জীবাণু সংক্রমণ (ডায়রিয়া, টাইফয়েড) হয়ে থাকে।

৩. পরিবেশগত দূষণ ও অপরিষ্কারতা

বর্ষাকালে ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি জমে থাকে, যেখানে জীবাণু ও পোকামাকড়ের প্রজনন হয়। এর ফলে শিশুর শরীরে বিভিন্ন রোগের জীবাণু প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ে।

৪. মশা ও পোকামাকড়ের বৃদ্ধি

বর্ষাকালে পানি জমে থাকার কারণে মশার প্রজনন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মশা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি রোগ ছড়ায়, যা শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।

৫. অপর্যাপ্ত ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি

হাত ধোয়ার অভাব, অপরিষ্কার খাবার ও পানীয় গ্রহণ, টয়লেটের অপরিষ্কার ব্যবহার এবং সঠিক পরিচ্ছন্নতার অভাব শিশুরা সহজেই রোগাক্রান্ত হয়।

৬. তাপমাত্রার পরিবর্তন ও ঠান্ডা পরিবেশ

বর্ষার সময় হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়া বা শরীর ভেজা থাকার কারণে ঠান্ডা লাগে, যা শ্বাসনালী সংক্রমণ ও সর্দি-কাশি বাড়িয়ে দেয়।

৭. পুষ্টিহীনতা ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা

বর্ষাকালে অনেক শিশু পুষ্টিহীন হয় বা সঠিক খাদ্য পান না পেলে তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে সহজেই সংক্রমণ হয়।

রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
  • শিশুর হাত নিয়মিত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, বিশেষ করে খাবার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পরে।

  • খাবার ও পানীয় সর্বদা পরিষ্কার এবং সুরক্ষিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

  • শিশুর আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।

২. পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি ব্যবহার
  • শিশুকে সুরক্ষিত, ফিল্টারকৃত বা উবাল দেওয়া পানি দিতে হবে।

  • অপরিষ্কার পানি থেকে দূরে রাখা।

৩. সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করা
  • ভাজা ও আধপাকা খাবার এড়িয়ে, পুষ্টিকর এবং সঠিকভাবে রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে।

  • বর্ষাকালে প্রচুর তরল পান করানো, যাতে শিশুর শরীর হাইড্রেটেড থাকে।

৪. শিশুকে শুকনো ও আরামদায়ক কাপড় পরানো
  • ভেজা কাপড় পরানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।

  • শিশুর শরীর সারা দিন শুকনো রাখা জরুরি।

৫. মশার হাত থেকে রক্ষা
  • শিশুকে মশারি বা মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করতে হবে।

  • মশার ও ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি ফেলা বা পরিষ্কার রাখা।

৬. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক পুষ্টি
  • শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে যাতে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।

  • প্রচুর ফলমূল, সবজি এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো।

৭. ঠান্ডা লাগার থেকে রক্ষা করা
  • বর্ষায় শিশুকে সঠিকভাবে গরম রাখা, বিশেষ করে রাতে।

  • ভেজা অবস্থায় রাখবেন না, শিশুকে শুকনো কাপড়ে মুড়িয়ে রাখবেন।

৮. শিশুর শরীরে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া
  • জ্বর, ডায়রিয়া, কাশি-ঠাণ্ডা বা অন্য কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৯. টিকা গ্রহণ সম্পন্ন রাখা
  • শিশুদের বর্ষার আগে প্রয়োজনীয় টিকা যেমন ডেঙ্গু, পোলিও, কাশির টিকা ইত্যাদি সম্পন্ন করতে হবে।

বাড়িতে শিশুদের যত্নে করণীয়:

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
  • শিশুর হাত নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, বিশেষ করে বাইরে থেকে ফিরে, খাবার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর।

  • শিশুর খেলার জায়গা এবং ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।

  • খাবার তৈরির স্থান, রান্নাঘর ও পাত্র-বাসন সবসময় স্যানিটাইজড রাখা জরুরি।

২. শিশুর নিরাপদ পানি এবং খাবার নিশ্চিত করা
  • শিশুকে শুধু উবালা বা ফিল্টার করা পানি দিতে হবে।

  • তাজা এবং সঠিকভাবে রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে, বর্জ্য বা আধপাকা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. শিশুকে ভেজা থেকে রক্ষা করা
  • শিশুকে ভেজা কাপড় পরতে দেবেন না।

  • শিশুর ত্বক শুকনো রাখার জন্য নিয়মিত গোসল করানো এবং শুকনো কাপড় পরানো।

৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক খাদ্য
  • শিশুকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম দিতে হবে যাতে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

  • পুষ্টিকর খাবার যেমন শাক-সবজি, ফলমূল, দুধ, ডাল-চাল খাওয়াতে হবে।

৫. মশার হাত থেকে রক্ষা
  • শিশুর বিছানায় মশারি ব্যবহার করুন।

  • বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি ফেলে দিন যাতে মশা না জন্মায়।

  • প্রয়োজনে শিশুদের মশার প্রতিরোধক লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

৬. ঠান্ডা লাগা রোধ করা
  • শিশুকে আবহাওয়ার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পোশাক পরান, বর্ষায় বিশেষ করে গরম ও শুকনো কাপড় পরানো।

  • ভেজা অবস্থায় বা হঠাৎ ঠান্ডা পরিবেশে রাখবেন না।

৭. স্বাস্থ্যগত লক্ষণ লক্ষ্য করা
  • শিশুর শরীরে জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, বমি বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

  • ঘরেই শিশুর অবস্থার প্রতি নজর রাখা জরুরি।

৮. টিকা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করা
  • শিশুর সমস্ত টিকা সময়মতো নেওয়া নিশ্চিত করুন।

  • শিশুদের বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

৯. স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলা
    • শিশুকে ছোটবেলা থেকে হাত ধোয়ার অভ্যাস শেখানো।

    • বাড়িতে শিশুর কাছে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা।

বর্ষার শিশুর রোগ প্রতিরোধে পুষ্টির গুরুত্ব:

১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

শিশুর শরীরে সঠিক ও পরিমিত পুষ্টি না থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পুষ্টি, বিশেষ করে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেল শিশুদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিংক শিশুদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

২. শরীরের বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধার

বর্ষাকালে অনেক শিশু ডায়রিয়া, জ্বর, কাশি-কাশি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়। এসব রোগ শরীরের পুষ্টি কমিয়ে দেয়। পুষ্টিকর খাবার শিশুর শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে এবং তার শারীরিক বৃদ্ধি বজায় রাখে।

৩. শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি

সুষম পুষ্টি শিশুকে শক্তি দেয়, যাতে সে সক্রিয় থাকে এবং বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজ করতে পারে। বর্ষার সময় শিশুর শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কমে যাওয়া সহজ, তাই পুষ্টির মাধ্যমে শক্তি বজায় রাখা দরকার।

৪. পাচনতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখা

বর্ষায় পেটের সংক্রমণ বেশি হওয়ার কারণ অনেক সময় পুষ্টির ঘাটতি ও খারাপ খাবার খাওয়াই। যথাযথ পুষ্টি শিশুর পাচনতন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং পেটের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বর্ষায় শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি:

শিশুর পরিবেশের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন:

  • শিশুদের খেলার স্থান পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন

  • জল জমে থাকা স্থান দূর করুন

  • বৃষ্টির পানি জমে থাকা এলাকায় মশার প্রজনন কমাতে ব্যয়বহুল রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করুন

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

বর্ষায় বাচ্চাদের সাধারণ রোগ এবং সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার  সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ):

১. বর্ষায় শিশুরা কোন কোন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়?

শিশুরা বর্ষাকালে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, ডেঙ্গু, সর্দি-কাশি, শ্বাসনালী সংক্রমণ এবং ত্বকের সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হয়।

২. শিশুর ডায়রিয়া হলে কী করবেন?

শিশুকে বেশি পানি ও তরল খাবার দিতে হবে যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়। পরিষ্কার পানি ব্যবহার এবং পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো জরুরি। ডায়রিয়া গুরুতর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. বর্ষায় ডেঙ্গু থেকে শিশুকে কীভাবে রক্ষা করবেন?

বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে। শিশুকে মশারি বা মশার প্রতিরোধক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে গেলে ঢেকে রাখা পোশাক পরাতে হবে।

৪. সর্দি-কাশি হলে শিশুকে কী খাবার দিতে হবে?

গরম তরল খাবার যেমন সূপ, দুধ দিতে পারেন। শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং পরিষ্কার পরিবেশে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৫. শিশুর ত্বকের ফোস্কা বা সংক্রমণ হলে করণীয় কী?

ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

৬. শিশুকে বর্ষায় কীভাবে সুস্থ রাখা যায়?

পরিষ্কার পানি ও খাবার নিশ্চিত করা, হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, ভেজা কাপড় পরানো এড়ানো, মশারি ব্যবহার এবং যথাযথ টিকা দেওয়া।

৭. শিশুর শরীর ভিজে গেলে কী করবেন?

শিশুকে দ্রুত শুকনো কাপড় পরিয়ে গরম রাখতে হবে এবং ভেজা অবস্থায় বেশি সময় রাখবেন না। শরীর গরম ও শুকনো রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

৮. শিশু যদি জ্বর হয় তাহলে কী করবেন?

শিশুর তাপমাত্রা নিয়মিত মাপুন। পর্যাপ্ত পানি দিন এবং আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করুন। জ্বর বেশি হলে বা অন্য উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

No comment yet, add your voice below!


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *