Skip to content
মুখের দুর্গন্ধ

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় : দাঁত ব্রাশ করেও সমস্যা হলে কী করবেন

মুখের দুর্গন্ধ (Bad Breath) একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার পরেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। মুখের দুর্গন্ধ নানা কারণে হতে পারে, যেমন- খাদ্যাভ্যাস, মাড়ির সমস্যা, পেটের সমস্যা, মুখের শুষ্কতা ইত্যাদি। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো।

 

মুখের দুর্গন্ধের কারণ

মুখের দুর্গন্ধ, যা হ্যালিটোসিস (Halitosis) নামে পরিচিত, এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

১. খাবার ও পানীয়ের প্রভাব

বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পানীয় মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। রসুন, পেঁয়াজ, মসলাযুক্ত খাবার, কফি এবং অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে মুখে দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ থাকতে পারে। এই ধরনের খাবার হজমের পর রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নির্গত হয়।

২. অপর্যাপ্ত মুখের যত্ন

নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে খাবারের কণা দাঁতের ফাঁকে জমে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়, যা দুর্গন্ধের অন্যতম প্রধান কারণ। জিহ্বার উপর জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। গিংগিভাইটিস (মাড়ির প্রদাহ) ও পেরিওডোন্টাল রোগ (গভীর মাড়ির সংক্রমণ) থাকলে দুর্গন্ধ আরো তীব্র হতে পারে।

৩. মুখের শুষ্কতা (Xerostomia)

লালা মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুখে লালার পরিমাণ কমে গেলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। রাতে ঘুমের সময় মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের সকালে দুর্গন্ধ হয়। কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, ডায়ুরেটিক এবং ডিপ্রেশনের ওষুধ মুখ শুষ্ক করে তোলে, যা দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।

৪. ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য

ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য মুখের লালা কমিয়ে দেয় এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এগুলো মাড়ির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যা মুখের দুর্গন্ধের আরেকটি কারণ।

৫. বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা

সাইনাস সংক্রমণ, টনসিল পাথর, অ্যাসিড রিফ্লাক্স (GERD), হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. Pylori) সংক্রমণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, লিভার বা কিডনির সমস্যার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।

৬. কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ওষুধ লালা উৎপাদন কমিয়ে মুখকে শুষ্ক করে ফেলে, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

নিম্নলিখিত কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়মিত অনুসরণ করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব:

১. পানি পান করুন

মুখের শুষ্কতা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে যায়।

২. লবণ পানি দিয়ে কুলি করুন

লবণ পানি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে লবণ পানি দিয়ে কুলি করুন।

৩. মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন

আপনি চাইলে ঘরোয়া মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন। উপাদান:

  • ১ কাপ গরম পানি
  • ১ চা চামচ বেকিং সোডা
  • ২ ফোঁটা পিপারমিন্ট তেল

ব্যবহার: এই মিশ্রণটি দিয়ে দিনে দুইবার কুলি করুন। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক।

৪. এলাচ ও লবঙ্গ চিবান

এলাচ ও লবঙ্গ প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য মুখকে সতেজ রাখে। খাওয়ার পর একটি এলাচ বা লবঙ্গ চিবাতে পারেন।

৫. দারুচিনি ও মধু

দারুচিনি ও মধুর সংমিশ্রণ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও অর্ধেক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।

৬. আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার মুখের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে এবং দুর্গন্ধ কমায়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।

৭. দই খান

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়।

৮. সবুজ চা পান করুন

সবুজ চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে দুর্গন্ধ দূর করে। দিনে অন্তত একবার সবুজ চা পান করুন।

৯. ফল ও শাকসবজি খান

আপেল, গাজর, শসা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে।

১০. দাঁতের যত্ন নিন
  • দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন।
  • প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার করুন।
  • জিহ্বা পরিষ্কার করুন।

 

মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ

মুখের দুর্গন্ধ (হ্যালিটোসিস) দূর করতে এবং প্রতিরোধ করতে নিয়মিত ওরাল হাইজিন বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তবে, যদি নিয়মিত পরিচর্যার পরও সমস্যা দূর না হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

১. নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন
  • প্রতিদিন অন্তত দুইবার ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
  • ব্রাশ করার সময় জিহ্বাও পরিষ্কার করা উচিত, কারণ জিহ্বার পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে।
  • প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে, যাতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার এবং প্লাক দূর হয়।
  • অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
২. মুখের শুষ্কতা দূর করুন
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি, যাতে মুখের লালা উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে।
  • কফি এবং অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এগুলো মুখের শুষ্কতা বাড়ায়।
  • ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, কারণ এগুলো লালা উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
  • যদি মুখ শুষ্ক থাকে, তবে চুইংগাম (চিনিবিহীন) চিবানো যেতে পারে, যা লালা উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন
  • তাজা ফল ও সবজি খাওয়া উচিত, যেমন আপেল ও গাজর, যা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • উচ্চ শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এগুলো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
  • খাবার গ্রহণের পর পানি পান করা দরকার, যাতে মুখে জমে থাকা খাবারের কণা দূর হয়।
৪. দাঁতের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের কাছে যান
  • যদি মাড়ির সমস্যা, দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি বা প্লাক জমার সমস্যা থাকে, তবে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত।
  • বছরে অন্তত দুইবার দাঁতের ডাক্তার দ্বারা দাঁতের চেকআপ করানো উচিত।
৫. অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিন
  • যদি মুখের দুর্গন্ধের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিড রিফ্লাক্স (GERD) বা হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি সংক্রমণ থাকে, তবে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যদি লিভার বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে দুর্গন্ধ হয়, তবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
  • যদি টনসিল পাথর বা সাইনাস ইনফেকশনের কারণে দুর্গন্ধ হয়, তবে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

 

কবে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন

মুখের দুর্গন্ধ কখনো কখনো সাধারণ কারণের জন্য হয়ে থাকে, যা সঠিক ওরাল কেয়ার এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে দূর করা যায়। তবে, যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিস্থিতি দেওয়া হলো, যখন ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন হতে পারে।

১. দীর্ঘস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ (৬ সপ্তাহের বেশি)
  • যদি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ, ফ্লস এবং মাউথওয়াশ ব্যবহারের পরও দুর্গন্ধ না কমে, তাহলে ডাক্তার বা ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. মাড়ির রোগের লক্ষণ দেখা গেলে
  • মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে।
  • মাড়ি ফুলে গেলে বা ব্যথা অনুভূত হলে।
  • দাঁতের চারপাশে পুঁজ জমতে দেখলে।
৩. টনসিল বা গলায় সমস্যা থাকলে
  • গলায় টনসিল পাথর (Tonsil Stones) জমে থাকলে।
  • গলা ব্যথা বা টনসিল ফুলে গেলে।
  • বারবার গলায় সংক্রমণ হলে।
৪. মুখের শুষ্কতা দীর্ঘস্থায়ী হলে
  • যদি দীর্ঘদিন ধরে মুখ শুকিয়ে থাকে এবং লালা কম তৈরি হয়।
  • যদি রাতে ঘুমের পর মুখ অত্যন্ত শুষ্ক মনে হয়।
৫. গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যা থাকলে
  • যদি মুখের দুর্গন্ধের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স (GERD) থাকে।
  • বুক জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা বা টক ঢেকুর উঠলে।
৬. শ্বাসের গন্ধ ফলের মতো বা পচা গন্ধযুক্ত হলে
  • যদি শ্বাস থেকে অ্যাসিটোন বা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ আসে, তাহলে এটি ডায়াবেটিসের সংকেত হতে পারে।
  • যদি শ্বাস থেকে পচা বা অ্যামোনিয়া গন্ধ বের হয়, তাহলে এটি কিডনি বা লিভারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৭. ধূমপান বা অ্যালকোহলের কারণে যদি মুখের দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়
  • যদি ধূমপান বা অ্যালকোহলজনিত কারণে দুর্গন্ধ দূর না হয়, তাহলে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

মুখের দুর্গন্ধ একটি বিব্রতকর সমস্যা হলেও, ঘরোয়া উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কিছু কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করলে সহজেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়। তবে, দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

 

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় – দাঁত ব্রাশ করেও সমস্যা হলে কী করবেন? (FAQ)

১. দাঁত ব্রাশ করেও যদি মুখে দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে কী করা উচিত?

দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ থাকলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো চেষ্টা করা যেতে পারে—

  • প্রতিবার খাবারের পর পানি পান করুন, যাতে মুখে জমে থাকা খাবারের কণা দূর হয়।
  • জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য টাং স্ক্র্যাপার বা ব্রাশ ব্যবহার করুন।
  • অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ বা লবণ-পানির কুলি করুন।
  • খাবারে শাকসবজি ও ফলমূল বেশি রাখুন, বিশেষ করে আপেল, গাজর, শসা এগুলো মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
২. কোন খাবার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক?

কিছু প্রাকৃতিক খাবার মুখের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যেমন—

  • পুদিনা পাতা বা তুলসী পাতা চিবানো।
  • গ্রিন টি পান করা, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
  • দারুচিনি ও লবঙ্গ চিবানো, কারণ এগুলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ।
  • দই খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়া কমে যেতে পারে।
৩. মুখের শুষ্কতা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করলে কী করবেন?
  • বেশি করে পানি পান করুন।
  • চুইংগাম (চিনিবিহীন) চিবান, যা লালা উৎপাদন বাড়ায়।
  • ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কারণ এগুলো মুখ শুকিয়ে ফেলে।
৪. ধূমপানের কারণে মুখের দুর্গন্ধ হলে কী করা যায়?
  • ধূমপান পরিহার করাই সবচেয়ে ভালো সমাধান।
  • ধূমপান পরিত্যাগ করা না গেলে নিয়মিত ব্রাশ করা ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করা দরকার।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং ধূমপানের পর পুদিনা পাতা চিবানো যেতে পারে।
৫. ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করা যায়?
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবু ও গরম পানি পান করা।
  • এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলি করা।
  • প্রতিদিন রাতে লবঙ্গ বা মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে কুলি করা।
৬. কখন ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন?
  • যদি ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মুখের দুর্গন্ধ থেকে যায়।
  • যদি দাঁতের সমস্যা, মাড়ি থেকে রক্তপাত বা ব্যথা অনুভূত হয়।
  • যদি পেটের সমস্যা (গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিড রিফ্লাক্স) থেকে দুর্গন্ধ হয়।
  • যদি মুখ থেকে অ্যামোনিয়া বা অ্যাসিটোন গন্ধ আসে, যা কিডনি বা ডায়াবেটিস সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

No comment yet, add your voice below!


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *